অনুসন্ধান ফলাফলগুলি - বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়

মহীনের ঘোড়াগুলি

১৯৭৯ সালে [[রবীন্দ্রসদন|রবীন্দ্রসদনে]] কনসার্টের সময়ে ''মহীনের ঘোড়াগুলি''; <small>বাম থেকে: [[রাজা ব্যানার্জী]], [[প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়]], [[তাপস দাস]], [[প্রণব সেনগুপ্ত]], [[গৌতম চট্টোপাধ্যায়]] এবং [[রঞ্জন ঘোষাল]]। [[এব্রাহাম মজুমদার]] এবং [[বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়]] উপস্থিত ছিলেন, যদিও এখানে অদৃশ্যমান।</small> মহীনের ঘোড়াগুলি ১৯৭৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম বাংলা স্বাধীন রক ব্যান্ড। এটি ভারতের প্রথম রক ব্যান্ড যা ১৯৭০-এর দশকের মাঝ পর্বে কলকাতায় যাত্রা শুরু করে। গৌতম চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জন ঘোষাল, এব্রাহাম মজুমদার, তাপস দাসতপেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, এই সাত জন সঙ্গীতশিল্পী সহকারে নব্বই দশকের পর তাঁরা ব্যাপকভাবে ভারতীয় রক যুগের কিংবদন্তি, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং সর্বাধিক প্রভাবশালী আভা-গার্দ সঙ্গীতদল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠেন। আমেরিকান, লাতিন, রক, জ্যাজ, লোক, বাউল বিভিন্ন সঙ্গীত ধারায় নিরীক্ষামূলক কাজ এবং এসবের প্রভাবের মিশ্রণ থাকায় এই সঙ্গীত দলকে যে কোনো একটি সঙ্গীত শৈলী অনুসারে শ্রেণিভুক্ত বা আলাদা করা কঠিন হবে। তবে বাউল সঙ্গীত এবং বাংলা রক ধারায় লোক ঐতিহ্যের স্বাধীনচর্চার পাশাপাশি প্রায়ই উদ্ভাবনী উপায়ে শাস্ত্রীয় উপাদান একত্রিত করার কারণে মহীনের ঘোড়াগুলিকে লোক-রক সঙ্গীত ব্যান্ড বলা যেতে পারে।

সত্তরের দশকে দলটি গড়ে উঠলেও প্রাথমিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। সে সময়ে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের গানে আমূল নতুনত্ব থাকলেও চলচ্চিত্রের গান বাণিজ্যিকভাবে প্রভাব বিস্তার করায় বাংলা সঙ্গীত জগতে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছিলো। ষাটের দশকের বব ডিলনের মতো তাদের সঙ্গীতেও শহুরে লোক আন্দোলনের একধরনের ব্যক্তিক আকূতি বা সামাজিক প্রকৃতির ছাপ রয়েছে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ''সংবিগ্ন পাখিকূল ও কলকাতা বিষয়ক'' (১৯৭৭), ''অজানা উড়ন্ত বস্তু বা অ-উ-ব'' (১৯৭৮) এবং ''দৃশ্যমান মহীনের ঘোড়াগুলি'' (১৯৭৯); এই তিনটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। যদিও সে সময়ে তারা প্রায় অপরিচিত ছিল বলা যায়। নব্বইয়ের দশকে তারা দ্য ভেলভেট আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ডের মতোন পুনরায় সমালোচনামূলক মূল্যায়ন পেয়েছে। ১৯৯৫ সালে সমসাময়িক বিভিন্ন শিল্পীদের সমন্বয়ে গৌতম চট্টোপাধ্যায় ''আবার বছর কুড়ি পরে'' শিরোনামে মহীনের ঘোড়াগুলির একটি কভার সংকলন প্রকাশ করেন। জীবনমুখী গান এবং নৈতিক সঙ্গীত দর্শনের কারণে বর্তমানে তাঁদেরকে বাংলা গানের পথিকৃৎ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। গান রচনার শৈলী অনুযায়ী সমালোচনামূলক ভাবে বলা যায় তাঁরা জোরালোভাবে বাংলা লোক এবং আমেরিকান শহুরে লোক ধারা কর্তৃক প্রভাবিত।

আশির দশকের প্রারম্ভে ব্যান্ডটি ভেঙে যাবার পর সদস্যরা বিভিন্ন কর্মজীবনে মনোনিবেশ দেয়। গৌতম চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় পাড়ি জমান সান ফ্রান্সিসকোতে, প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রকৌশলী জীবনে মনোযোগ দেন, রঞ্জন ঘোষাল বেঙ্গালুরুতে বিজ্ঞাপন আর থিয়েটারে যুক্ত হয়ে পড়েন, এব্রাহাম মজুমদার জার্মানিতে মিউজিক স্কুল চালু করেন, তাপস দাস কলকাতায় চলচ্চিত্রপ্রামাণ্যচিত্র নিয়ে কাজ শুরু করেন আর তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেন তাঁর কর্মজীবনে। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
  • প্রদর্শন 1 - 1 ফলাফল এর 1
ফলাফল পরিমার্জন করুন
  1. 1