অনুসন্ধান ফলাফলগুলি - শ্রী অরবিন্দ
অরবিন্দ ঘোষ
| birth_place = কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) | death_date = | death_place = পন্ডিচেরি, ফরাসি ভারত(অধুনা পুদুচেরি, ভারত) | alma_mater = কেমব্রিজ | spouse = | relatives = মনমোহন ঘোষ (ভ্রাতা)
বারীন্দ্রকুমার ঘোষ (ভ্রাতা) | nationality = ভারতীয় | founder = শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম | philosophy = | religion = হিন্দুধর্ম | literary_works = ''দ্য লাইফ ডিভাইন'', ''দ্য সিন্থেসিস অফ যোগ'', ''সাবিত্রী'' | disciples = চম্পকলাল, নলিনীকান্ত গুপ্ত, প্রণবকুমার ভট্টাচার্য, কে. ডি. সেঠনা, নীরদবরণ, পবিত্র, এম. পি. পণ্ডিত, এ. বি. পুরাণী, দিলীপকুমার রায়, সৎপ্রেম, ইন্দ্র সেন | influenced = মীরা আলফাসা
অরোভিল
কেন উইলবার
হরিদাস চৌধুরী | signature = Sri-Aurobindo-Signature-Transparent.jpg.png | native_name = | native_name_lang = }}
শ্রীঅরবিন্দ (জন্মগত নাম: অরবিন্দ অ্যাক্রয়েড ঘোষ; ১৫ অগস্ট ১৮৭২ – ৫ ডিসেম্বর ১৯৫০) ছিলেন একজন ভারতীয় দার্শনিক, যোগী, কবি ও জাতীয়তাবাদী। সাংবাদিক হিসেবে তিনি ''বন্দে মাতরম্'' প্রভৃতি সংবাদপত্র সম্পাদনা করেন। তিনি ভারতকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯১০ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের এক প্রভাবশালী নেতা। তারপর তিনি এক আধ্যাত্মিক সংস্কারকে পরিণত হন এবং মানব-প্রগতি ও আধ্যাত্মিক বিবর্তনের ক্ষেত্রে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির কথা প্রচার করেন।
ইংল্যান্ডের কেমব্রিজের কিং'স কলেজে অরবিন্দ ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস অধ্যয়ন করেন। ভারতে প্রত্যাবর্তনের পর বরোদার দেশীয় রাজ্যের মহারাজের অধীনে তিনি একাধিক অসামরিক পরিষেবা কার্যে অংশগ্রহণ করেন। এই সময় তিনি ক্রমশই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জাতীয়তাবাদী রাজনীতি এবং বাংলায় অনুশীলন সমিতির ক্রমবর্ধমান বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। একটি শুনানির মামলা চলাকালীন একাধিক বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় এই সংগঠন জড়িয়ে পড়লে অরবিন্দও গ্রেফতার হন। এই সময় তাঁর বিরুদ্ধে আলিপুর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনীত হয়। যদিও ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে নিবন্ধ রচনার অভিযোগেই কেবল তাঁকে দোষীসাব্যস্ত ও কারারুদ্ধ করা যেত। মামলা চলাকালীন নরেন্দ্রনাথ গোস্বামী নামে এক রাজসাক্ষী নিহত হওয়ার পর প্রমাণাভাবে অরবিন্দ মুক্তি পান। জেলে বন্দী থাকার সময় অরবিন্দ অতীন্দ্রিয় ও আধ্যাত্মিক কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। মুক্তিলাভের পর তিনি পন্ডিচেরি চলে যান এবং রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে আধ্যাত্মিক সাধনায় মনোনিবেশ করেন।
পন্ডিচেরিতে অরবিন্দ অধ্যাত্ম-সাধনার যে বিশেষ প্রক্রিয়াটির বিকাশ ঘটান তার নাম তিনি দেন যোগ সমন্বয়। তাঁর অন্তর্দৃষ্টির মূল বক্তব্যটি ছিল মানব জীবনের বিবর্তন ঘটে এক দিব্য দেহে এক দিব্য জীবনলাভে। তিনি এমন এক আধ্যাত্মিক উপলব্ধিতে বিশ্বাস করতেন, যা শুধুমাত্র মোক্ষলাভই ঘটায় না, বরং মানব প্রকৃতির রূপান্তর ঘটিয়ে মর্ত্যেই এক দিব্য জীবনকে সম্ভব করে তোলে। ১৯২৬ সালে নিজের আধ্যাত্মিক সহকারী মীরা আলফাসার (যিনি "শ্রীমা" নামে অভিহিতা হতেন) সাহায্যে শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়।
অরবিন্দের প্রধান সাহিত্যকৃতিগুলি হল ''দ্য লাইফ ডিভাইন'' (যে গ্রন্থে যোগ সমন্বয়ের দার্শনিক দিকগুলি আলোচিত হয়েছে); ''সিন্থেসিস অফ যোগ'' (যে গ্রন্থে যোগ সমন্বয়ের নীতি ও পদ্ধতি আলোচিত হয়েছে); এবং ''সাবিত্রী: আ লেজেন্ড অ্যান্ড আ সিম্বল'' (মহাকাব্য)। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ