মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
| আত্মীয় = হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় (পিতা), নীরোদাসুন্দরী দেবী (মাতা)
| জন্ম_স্থান = দুমকা, সাঁওতাল পরগনা,
বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি,
ব্রিটিশ ভারত (অধুনা
দুমকা জেলা,
ঝাড়খণ্ড)
| মৃত্যু_তারিখ =
| মৃত্যু_স্থান =
কলকাতা,
পশ্চিমবঙ্গ,
ভারত
| পেশা = ঔপন্যাসিক, ছোটো গল্পকার
| বাসস্থান =
| জাতীয়তা =
ভারতীয়
| পুরস্কার =
| দাম্পত্যসঙ্গী = কমলা দেবী
}}
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯ মে ১৯০৮ – ৩ ডিসেম্বর ১৯৫৬) ছিলেন একজন
ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তার প্রকৃত নাম
প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর
পৃথিবী জুড়ে মানবিক মূল্যবোধের চরম সংকটময় মুহূর্তে বাংলা কথা-সাহিত্যে যে কয়েকজন লেখকের হাতে সাহিত্য জগতে নতুন এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম।
তার রচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, নিয়তিবাদ ইত্যাদি।
ফ্রয়েডীয় মনঃসমীক্ষণ ও
মার্কসীয় শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন যা তার রচনায় ফুটে উঠেছে। জীবনের অতি ক্ষুদ্র পরিসরে তিনি রচনা করেন চল্লিশটি উপন্যাস ও তিনশত ছোটোগল্প। তার রচিত ''
পুতুলনাচের ইতিকথা'', ''দিবারাত্রির কাব্য'', ''
পদ্মা নদীর মাঝি'' ইত্যাদি উপন্যাস ও ''অতসী মামী'', ''প্রাগৈতিহাসিক'', ''ছোট বকুলপুরের যাত্রী'' ইত্যাদি গল্পসংকলন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। ইংরেজি ছাড়াও তার রচনাসমূহ বহু বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর, মাত্র আটচল্লিশ বছর বয়সে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী এই কথা সাহিত্যিকের জীবনাবসান ঘটে।
উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ