অনুসন্ধান ফলাফলগুলি - Jackson, Michael
মাইকেল জ্যাকসন

১৯৮০র দশকে মাইকেল সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছান। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী যিনি এমটিভিতে এতো জনপ্রিয়তা পান। বলা হয়, তার গাওয়া গানের ভিডিওর মাধ্যমেই এমটিভির প্রসার ঘটেছিলো। গানের তালে তালে মাইকেলের নাচের কৌশলগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। মাইকেলের জনপ্রিয় নাচের মধ্যে রোবোট, ও মুনওয়াক (চাঁদে হাঁটা) রয়েছে। মুনওয়াক আসলে হলো সামনের দিকে হাঁটার দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি করে পিছনে যাবার ভঙ্গিমা। তিনি পপ সংগীত এবং মিউজিক ভিডিওর ধারণা পাল্টে দেন। এখন সারাবিশ্বের সকল নৃত্যশিল্পীরা মাইকেল জ্যাকসনকে প্রায়ই শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন।
মাইকেল জ্যাকসন দু’বার রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেইমে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনিই এই পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি যিনি গান লেখক, নাচের (সর্বপ্রথম এবং একমাত্র), "আর এন বি" হল অফ ফেইমে যায়গা করে নিয়েছেন। সঙ্গীত জগতের কেউ এত ক্যাটাগরিতে হল অফ ফেইমে নিজেকে নিতে পারেন নি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে মাইকেল সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী - ১৩টি গ্র্যামি পুরস্কার, ১৩টি ১নম্বর একক সঙ্গীত, এবং ৩৫ কোটিরও বেশি মাইকেলের অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে।
"থ্রিলার"(১৮৮২) আজ পর্যন্ত ১১০ মিলিয়নের উপর বিক্রি হয়েছে যা সর্বোচ্চ বিক্রিত হওয়া অ্যালবাম। "ব্যাড" (১৯৮২) যেটাতে আছে বিলবোর্ড চার্টে ১ নম্বর হওয়া ৫ টি গান যা সর্বোচ্চ এবং মাইকেল জ্যাকসনের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত অ্যালবামের তালিকায় ২য় এবং ৬৭ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়।"ডেঞ্জারাস"(১৯৯১) যার মাধ্যমে মাইকেল "নিউ জ্যাক সুইং" নামে নতুন একটা জেনার কে পপুলার করে,এবং এটি সবচেয়ে বেশি বিক্রিত হওয়া নিউ জ্যাক সুইং এলাবাম, যার পরিমাণ ৩৬ মিলিয়ন কপি।"হিস্টোরি"(১৯৯৫) মাইকেলের নবম স্টুডিও অ্যালবাম এবং এই পর্যন্ত ৩৩ মিলিয়ন (৬৬ মিলিয়ন ইউনিট), যা হচ্ছে এই পর্যন্ত ২ টি ডিস্ক সমন্বিত একটি অ্যালবাম এর সবচেয়ে বেশি বিক্রিত অ্যালবাম। হিস্টোরি একটি বহুল আলোচিত প্রতিবাদি অ্যালবাম। তার ২ বছর পর ১৯৯৭ সালে তিনি রিলিজ করেন তার সর্বপ্রথম রিমিক্স অ্যালবাম "ব্লাড অন দা ডান্স ফ্লোর:হিস্টোরি ইন দা মিক্স" যা এই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিক্রিত হওয়া রিমিক্স অ্যালবাম(৬ মিলিয়ন কপি)। ২০০১ সালে মাইকেল রিলিজ করে "ইনভিন্সিবল", তার জিবনের ১০ম ও সর্বশেষ স্টুডিও অ্যালবাম। এটি থ্রিলার এর থেকেও তাড়াতাড়ি বিক্রি হচ্ছিল,কিন্তু "সনি মিউজিক " এর সাথে ঝামেলার কারণে তারা এই অ্যালবামটি প্রোমোট করে না, তার পরেও এটি ১৩ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এটি এই পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যায়বহুল অ্যালবাম, এই অ্যালবাম এর শুধুমাত্র রেকর্ডিং এই মাইকেল খরচ করে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপর। ২০১০ সালে বিলবোর্ড কর্তৃক একটি পোলে এই অ্যালবামটি ২০০০-২০১০ সালের মধ্যে রিলিজ পাওয়া অ্যালবাম এর সেরা অ্যালবাম নির্বাচিত হয়। জ্যাকসন হচ্ছে এই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ড ও নোমিনেশন পাওয়া তারকা।
এছাড়াও গিনেস বুক অফ ওয়ার্লড তাকে বিশ্বরেকর্ড এ ভুষিত করেছে বিনোদন জগতের মানুষ হিসেবে সবচেয়ে বেশি দান খয়রাত করবার জন্যে, এবং তার দানকৃত অর্থের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এর বেশি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নানা কেলেঙ্কারিতে (যা পরবর্তিতে প্রত্যেকটি ভুল প্রমাণিত হয়) জড়ালেও প্রায় ৪০ বছর ধরে সারাবিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ছিলেন এবং তিনি পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গায়ক এবং নৃত্যশীল্পির সিংহাসনে বসে আছেন। তার মতো তারকা বর্তমান বিশ্বে নেই বললেই চলে। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ